ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ টাকার টমেটো ঢাকায় এসে ৪০-১০০ টাকা হয়ে যায়

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০২:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / ৫৩৮ বার পঠিত

টমেটোর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। গাছে গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। কিন্তু সেই ওজনের মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। তাই অনেকটা অভিমানেই মাঠ থেকে ফসল তুলছেন না তারা। ৪ টাকা কেজির টমেটো ঢাকার বাজারে এসে কখনও কখনও হয়ে যায় ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শুধু টমেটোখেত। জমিতে ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশায় কৃষকরা। প্রতি বছর সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ হয়ে থাকে।

 

এবার উপজেলায় প্রায় ৫৭০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। এতে লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলেন সাড়ে ৪ হাজার কৃষক। হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে নষ্ট হচ্ছে পাকা টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা।

 

উপজেলা কৃষি দপ্তরের তদারকি, রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১২ মাস বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। আর এই উৎপাদিত সবজি সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

 

দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছেন সীতাকুণ্ডের কৃষকরা। খেত থেকে টমেটো তুলতে কর্মচারীর খরচও ওঠাতে পারছেন না চাষিরা। বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে না পেরে টমেটো ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বিক্রি করতে না পেরে খেতেই নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য কৃষকের টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা।

 

আলুর মতো প্রক্রিয়াকরণের কোনো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকদের এ ক্ষতি এড়ানো যেতো বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুলল্ল্যাহ।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

৪ টাকার টমেটো ঢাকায় এসে ৪০-১০০ টাকা হয়ে যায়

আপডেটঃ ০২:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

টমেটোর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। গাছে গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। কিন্তু সেই ওজনের মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। তাই অনেকটা অভিমানেই মাঠ থেকে ফসল তুলছেন না তারা। ৪ টাকা কেজির টমেটো ঢাকার বাজারে এসে কখনও কখনও হয়ে যায় ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শুধু টমেটোখেত। জমিতে ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশায় কৃষকরা। প্রতি বছর সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ হয়ে থাকে।

 

এবার উপজেলায় প্রায় ৫৭০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। এতে লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলেন সাড়ে ৪ হাজার কৃষক। হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে নষ্ট হচ্ছে পাকা টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা।

 

উপজেলা কৃষি দপ্তরের তদারকি, রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১২ মাস বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। আর এই উৎপাদিত সবজি সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

 

দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছেন সীতাকুণ্ডের কৃষকরা। খেত থেকে টমেটো তুলতে কর্মচারীর খরচও ওঠাতে পারছেন না চাষিরা। বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে না পেরে টমেটো ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বিক্রি করতে না পেরে খেতেই নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য কৃষকের টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা।

 

আলুর মতো প্রক্রিয়াকরণের কোনো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকদের এ ক্ষতি এড়ানো যেতো বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুলল্ল্যাহ।