ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৭-১১৮ টাকা

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৬:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / ৬১৪ বার পঠিত

ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিংপেগ’ চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে মধ্যবর্তী দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে ১ টাকা যোগ ও ১ টাকা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর মানে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৮ টাকা। এতোদিন ডলার বিক্রির আনুষ্ঠানিক দর ছিল ১১০ টাকা। আর ব্যাংকগুলো কিনতো ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায়।

 

আজ বুধবার (০৮ মে) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে এখন ডলারের দর বাড়বে। এতোদিন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকায় ডলার বেচাকেনা হচ্ছিল।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত।

 

এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করেই ডলার দাম খুব বেশি হলে এর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে। বিশেষ করে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে অনেক। এতে পণ্যের দামও বাড়াতে বাধ্য হবেন আমদানিকারকরা।

 

তিনি বলেন, ডলারের বেশি দাম বাড়ার ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে, মানুষ কষ্ট পাবেন। তবুও আমাদের অর্থনীতিকে একটা জায়গাতে আনতে হবে। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে দাম বাড়লে হয়তো কষ্ট কিছুটা কম হবে।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

দেশে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৭-১১৮ টাকা

আপডেটঃ ০৬:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিংপেগ’ চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে মধ্যবর্তী দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে ১ টাকা যোগ ও ১ টাকা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর মানে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৮ টাকা। এতোদিন ডলার বিক্রির আনুষ্ঠানিক দর ছিল ১১০ টাকা। আর ব্যাংকগুলো কিনতো ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায়।

 

আজ বুধবার (০৮ মে) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে এখন ডলারের দর বাড়বে। এতোদিন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকায় ডলার বেচাকেনা হচ্ছিল।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত।

 

এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করেই ডলার দাম খুব বেশি হলে এর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে। বিশেষ করে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে অনেক। এতে পণ্যের দামও বাড়াতে বাধ্য হবেন আমদানিকারকরা।

 

তিনি বলেন, ডলারের বেশি দাম বাড়ার ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে, মানুষ কষ্ট পাবেন। তবুও আমাদের অর্থনীতিকে একটা জায়গাতে আনতে হবে। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে দাম বাড়লে হয়তো কষ্ট কিছুটা কম হবে।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।