শীর্ষ ১০ কোম্পানির ছয়টিতেই বিদেশী বিনিয়োগ কমেছে
- আপডেটঃ ০৭:৩২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
- / ৫৫২ বার পঠিত
যেকোনো দেশের শেয়ারবাজারের জন্য বিদেশী বিনিয়োগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। একটি দেশের শেয়ারবাজার বিনিয়োগের জন্য কতটা উপযুক্ত সেটিও বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। তবে দেশের শেয়ারবাজার কয়েক বছর ধরেই বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমেই কমছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে চলতি বছরেও।
দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে বিদেশী বিনিয়োগের দিক দিয়ে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছয়টিতেই বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণসংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসিতে বিদেশীদের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটিতে বিদেশীদের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছরের ৩১ মে শেষে ব্র্যাক ব্যাংকে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে ৩০ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশী বিনিয়োগের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কোম্পানিটিতে বিদেশীদের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ। আর গত ৩১ মে শেষে কোম্পানিটিতে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ কমে ২৭ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা নাভানা ফার্মার গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বিদেশীদের বিনিয়োগ ছিল ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। গত ৩০ জুন পর্যন্ত তা স্থির রয়েছে। বিস্কুট উৎপাদনকারী শীর্ষ কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বিদেশীদের বিনিয়োগ ছিল ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি বছরের ৩১ মে শেষে এটি কমে ২৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ হয়েছে।
ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি রেনাটা পিএলসির বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২২ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত মে শেষে ২২ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিএসআরএম লিমিটেডের গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বিদেশীদের বিনিয়োগ ছিল ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। গত ৩১ মে শেষে কোম্পানিটিতে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ১ শতাংশে।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বিদেশীদের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৭ শতাংশ। গত মে শেষে এর পরিমাণ কমে ১০ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ খাতের শীর্ষ কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। গত মে শেষে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এ সময়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ।
বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বিদেশীদের ১৩ দশমিক ২ শতাংশ বিনিয়োগ ছিল। গত মে শেষে দশমিক ২ শতাংশ কমে ব্যাংকটিতে বিদেশীদের বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বস্ত্র খাতের কোম্পানি শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ ছিল। গত ৩১ মে শেষে কোম্পানিটির বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ স্থির রয়েছে।