স্বাভাবিক সময়ে ফিরছে শেয়ারবাজার
- আপডেটঃ ০৬:১০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
- / ৫২৫ বার পঠিত
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের শেয়ারবাজারে টানা তিনদিন লেনদেন বন্ধ ছিল। সীমিত পরিসরে অফিস ও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর পর শেয়ারবাজার খুললেও কমে আসে লেনদেনের সময়সীমা। আজ থেকে সব অফিস স্বাভাবিক সময়সূচি অনুসারে চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারেও লেনদেন আগের মতো আজ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা হবে। এদিকে বিদ্যমান অস্থিরতার প্রভাবে শেয়ারবাজারে নিম্নমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে শেয়ারবাজারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস চালু রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর ধারাবাহিকতায় আজ থেকে শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেলা ২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পোস্ট-ক্লোজিং সেশন চলবে।
গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক, যা লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ৫ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে।
গতকাল নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ প্রায় ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল রেনাটা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ও গ্রামীণফোনের শেয়ারের।
ডিএসইতে গতকাল ৪৩২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪৫০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৩৪০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১ শতাংশ লেনদেন ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের দখলে। আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত।
এছাড়া বস্ত্র খাতে ৮ দশমিক ৪ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে সব খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। এর মধ্যে পাট খাতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ এবং সেবা ও আবাসন খাতে ২ দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল প্রায় ৮১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯ হাজার ২০২ পয়েন্ট। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ২০৭ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ১৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৫ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে।