লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
- আপডেটঃ ০৪:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৫১৫ বার পঠিত
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩১ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ অক্টোবর।
এর আগে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ৮ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৭ টাকা ৭৪ পয়সা।
আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৩ টাকা ৩১ পয়সা (ঘাটতি)। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৪৯ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯১ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৫ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৫ টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর ১৪১ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫৫ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৪ লাখ ২২ হাজার ৬৭২টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৩১১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর ১২১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৯৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।