‘রিসেট বাটন’ ড. ইউনূসের বক্তব্য স্পষ্ট করল তার প্রেস উইং

- আপডেটঃ ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৫৫১ বার পঠিত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে তুমুল আলোচনা। অবশেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ( ১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখানে উল্লেখ্য, কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসার পর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতাযুদ্ধ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি গঠন করেন। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন সরকারকে রাজি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচার শুরু করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য তিনি বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেছিলেন।