ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, কিন্তু ব্রয়লার মুরগি এখনো চড়া

- আপডেটঃ ০৫:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৬৬৬ বার পঠিত
অবশেষে উত্তাল ডিমের বাজারে টান পড়েছে দামের লাগামে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবে দাম কমলেও চাহিদার তুলনায় ডিমের সরবরাহ অনেকটাই কম। এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে দাম কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে কিন্তু সরকারের বেঁধে দেয়া রেটে না। বর্তমানে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। সরকার ডিমের দাম বেঁধে দেয়ার পরেও গত কয়েক সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়ে হয়েছিল ১৮০ টাকার বেশি।
আজ রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিমের দাম কমলেও উন্নতি হয়নি সরবরাহ সংকটের।
ঢাকার শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও হাতিরপুল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন (বাদামি ও সাদা) ডিম ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় আরও পাঁচ টাকা বেশি। তবে গতকাল সোমবার প্রতি ডজন ডিম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক মাস আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
তবে কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারগুলোয় প্রতি ডজন সাদা ডিম ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় ও বাদামি ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কয়েকটি সুপারশপে ঘুরে এক ডজন ডিম ১৭৫ টাকা রাখতে দেখা গেছে।
গত জুলাই মাসে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগস্টেও দাম মোটামুটি এ রকমই ছিল। সেপ্টেম্বর মাসে ডিমের দাম বেড়ে যায়। মাসের শেষ দিকে ডজনপ্রতি দাম ১৭০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। পণ্য বিক্রয়কারী সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, গত ১ বছরে ডিমের দাম ১৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন ডিমের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ বাজারে ডিমের যে পরিমাণে চাহিদা রয়েছে, তার চেয়ে উৎপাদন ও সরবরাহ কম। এ কারণে পণ্যটির দাম বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রতিক বন্যার কারণে পোলট্রিশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সরবরাহব্যবস্থায় টান পড়েছে। এ ছাড়া পরিপূরক অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এসব কারণে ডিমের চাহিদা ও দামে একধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় ডিমের দাম কমাতে ডিম আমদানিতে আরোপিত শুল্ক-কর সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। অন্যদিকে, বাজারে ডিম সরবরাহের ঘাটতি কমাতে সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শুল্ক কমালে ও বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়লে দাম গ্রাহকের নাগালের মধ্যে আসবে।
মুরগির দাম চড়া: বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও ব্রয়লার মুরগির দাম এখনো চড়া। বেশ কিছুদিন ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সম্প্রতি দাম আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ছোট বাজার বা পাড়া-মহল্লায় ২১০ টাকা দরেও তা বিক্রি হয়ে থাকে।
এ ছাড়া বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির এই দাম প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে।