ঢাকা , শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নির্ঘুম শ্রমিকরা, ৩০ কি.মি. যানজট

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫৩৪ বার পঠিত

গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গতকাল শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা ধরে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছেন পোশাক শ্রমিকরা। পুলিশ, প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাাহিনীর কোনো আশ্বাস ও কথাই শুনতে নারাজ তারা। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়কেই অবস্থানের পক্ষে অনড় শ্রমিকরা। মহাসড়কে হাজার হাজার মানুষের চরম ভোগান্তির কথা জানলেও শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত সড়কেই অবস্থানের সিদ্ধান্তে অটল।এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আটকে আছে হাজারও যানবাহন।

 

আজ রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায়ও মহাসড়ক থেকে সরেননি শ্রমিকরা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদেরকে বুঝিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরাতে পারেনি।

 

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, ‘মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সারারাত আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। প্রায় ২৭ ঘণ্টা মহাসড়কে শ্রমিকেরা অবস্থান করে অবরোধ তৈরি করে রেখেছেন। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা বিকল্প পথে চলাচল করছেন। যানজটে আটকা পড়া পণ্যবাহী যানবাহনের মধ্যে পচনশীল পণ্য রয়েছে। যাত্রীবাহী অনেক বাস থেকে যাত্রীরা নেমে পায়ে হেঁটে বা বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন, ফলে অনেক যানবাহন যাত্রীশূন্য অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।’

 

শ্রমিকরা জানান, টিএনজেড গ্রুপের পাঁচ কারখানা ১২০০ শ্রমিকের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করছে। বাধ্য হয়ে তারা টানা এ আন্দোলন করছেন। বকেয়া বেতন নিয়েই তারা ঘরে ফিরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দফায় দফায় তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।

 

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, কয়েক দফা শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তাদের বকেয়া আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতীতে মালিকপক্ষ কথা রাখেনি, এমন অভিযোগ তুলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলছেন না।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নির্ঘুম শ্রমিকরা, ৩০ কি.মি. যানজট

আপডেটঃ ০২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গতকাল শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা ধরে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছেন পোশাক শ্রমিকরা। পুলিশ, প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাাহিনীর কোনো আশ্বাস ও কথাই শুনতে নারাজ তারা। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়কেই অবস্থানের পক্ষে অনড় শ্রমিকরা। মহাসড়কে হাজার হাজার মানুষের চরম ভোগান্তির কথা জানলেও শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত সড়কেই অবস্থানের সিদ্ধান্তে অটল।এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আটকে আছে হাজারও যানবাহন।

 

আজ রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায়ও মহাসড়ক থেকে সরেননি শ্রমিকরা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদেরকে বুঝিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরাতে পারেনি।

 

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান বলেন, ‘মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সারারাত আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। প্রায় ২৭ ঘণ্টা মহাসড়কে শ্রমিকেরা অবস্থান করে অবরোধ তৈরি করে রেখেছেন। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা বিকল্প পথে চলাচল করছেন। যানজটে আটকা পড়া পণ্যবাহী যানবাহনের মধ্যে পচনশীল পণ্য রয়েছে। যাত্রীবাহী অনেক বাস থেকে যাত্রীরা নেমে পায়ে হেঁটে বা বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন, ফলে অনেক যানবাহন যাত্রীশূন্য অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।’

 

শ্রমিকরা জানান, টিএনজেড গ্রুপের পাঁচ কারখানা ১২০০ শ্রমিকের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করছে। বাধ্য হয়ে তারা টানা এ আন্দোলন করছেন। বকেয়া বেতন নিয়েই তারা ঘরে ফিরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দফায় দফায় তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।

 

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, কয়েক দফা শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তাদের বকেয়া আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতীতে মালিকপক্ষ কথা রাখেনি, এমন অভিযোগ তুলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলছেন না।