ঢাকা , শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের নামে মিথ্যা মামলা করা নারী গ্রেপ্তার

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০২:০০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫৩৬ বার পঠিত

সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিজের জীবিত স্বামী আল আমিনকে (২২) মৃত দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী কুলসুম বেগম (২১) ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।

 

গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর রকিবুল হোসেন কুলসুম বেগমকে আদালতে হাজির করেন। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন জবানবন্দি রেকর্ড করে কুলসুমকে কারাগারে পাঠান।

 

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, মামলার ডিজিস্ট আল-আমিন মিয়া গত পাঁচ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এজাহারনামীয় আসামিদের গুলিতে আহত হয়ে মারা যান, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে কুলসুম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আশুলিয়া থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। তদন্তকালে জানা যায়, ডিজিস্ট আল-আমিন জীবিত আছেন।

 

গত ২৪ অক্টোবর কুলসুম বেগম তার জীবিত স্বামী আল আমিনকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে এটি আট নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত হয়। এসব তথ্য সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা থেকে আল আমিনকে জীবিত উদ্ধার করে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত পাঁচ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত একজনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। সেই লাশ নিজের স্বামীর দাবি করে মামলা করেন কুলসুম। পরে ১৩ নভেম্বর আল-আমিন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে নিজের জীবিত থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর থেকে কুলসুমের খোঁজ শুরু কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

তবে কুলসুম কেন এই মিথ্যা মামলাটি করেছিলেন তা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের নামে মিথ্যা মামলা করা নারী গ্রেপ্তার

আপডেটঃ ০২:০০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিজের জীবিত স্বামী আল আমিনকে (২২) মৃত দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী কুলসুম বেগম (২১) ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।

 

গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর রকিবুল হোসেন কুলসুম বেগমকে আদালতে হাজির করেন। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন জবানবন্দি রেকর্ড করে কুলসুমকে কারাগারে পাঠান।

 

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, মামলার ডিজিস্ট আল-আমিন মিয়া গত পাঁচ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এজাহারনামীয় আসামিদের গুলিতে আহত হয়ে মারা যান, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে কুলসুম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আশুলিয়া থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। তদন্তকালে জানা যায়, ডিজিস্ট আল-আমিন জীবিত আছেন।

 

গত ২৪ অক্টোবর কুলসুম বেগম তার জীবিত স্বামী আল আমিনকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে এটি আট নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত হয়। এসব তথ্য সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা থেকে আল আমিনকে জীবিত উদ্ধার করে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত পাঁচ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত একজনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। সেই লাশ নিজের স্বামীর দাবি করে মামলা করেন কুলসুম। পরে ১৩ নভেম্বর আল-আমিন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে নিজের জীবিত থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর থেকে কুলসুমের খোঁজ শুরু কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

তবে কুলসুম কেন এই মিথ্যা মামলাটি করেছিলেন তা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।