আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ৩১ জনকে আসামি করে মামলা, আ.লীগের ইন্ধনের অভিযোগ
- আপডেটঃ ০২:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
- / ৫১৭ বার পঠিত
চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। এ ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন এ মামলা করেন।
এছাড়া আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই খানে আলম আরেকটি মামলা করেছেন। ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৪০০-৫০০ জনকে। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ইন্ধনে আসামিরা সাইফুল ইসলামকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন বাদী। মামলার বাদী নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
মামলার আসামিরা হলেন—নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ খুনের মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার পর হাজারের বেশি অনুসারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ, সোয়াট, বিজিবি লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় আইনজীবীদের গাড়ি ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে মিছিল বের করেন কিছু আইনজীবী। তখন চিন্ময় অনুসারীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সেসময় মিছিল শেষে ফেরার পথে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান সাইফুল। এ সময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে চিন্ময় অনুসারীরা।