৩ দাবিতে জবির শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

- আপডেটঃ ০১:১৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৫২৪ বার পঠিত
সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন করছেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবার ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন বিভাগে তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছন শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ একাধিক ভবনে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। তারা জানান, শিক্ষার্থীরা অনশন করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় মেইন গেটসহ সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো ক্লাস পরীক্ষায় বসেননি তারা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটসহ সব গেট এবং ক্যাম্পাসের সব বিল্ডিংয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের কাজ চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে, অনশন চালিয়ে যাব। আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ওপর মহল থেকে যোগাযোগ করা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত এর সমাধান না আসছে, অনশন চালিয়ে যাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবাসনব্যবস্থা নিরসন ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবেই চলবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অ্যাকাডেমিক ভবনের গেট ছাড়ব না। দল-মত-জাতি নির্বিশেষে সবাইকে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিন দাবি নিয়ে গতকাল সকাল থেকে গণঅনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাতে ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে জবি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা বেরিয়ে এসে অবশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা দাবিসংশ্লিষ্ট চার দপ্তরের প্রতিনিধি ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানান।
তাদের দাবিগুলো হলো দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।