ঢাকা , বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ তিতুমির শিক্ষার্থীদের টানা ১১ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০১:০৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫১১ বার পঠিত

তিতুমীর কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টার দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন কলেজটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে অনড় তারা। আজ (০৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

 

গতকাল রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার।

 

তিনি বলেন, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। আমরা গতকালই আজকের অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ব ইজতেমার জন্য বেলা ১১টা থেকে অবরোধ শিথিল করেছিলাম। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফের অবরোধ ঘোষণা করছি। এর আওতায় থাকবে মহাখালী, রেল গেট, আমতলী ও গুলশান লিংক রোড। এর আগে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আমাদের কর্মসূচি শিথিল করেছিলাম। কিন্তু আগামীকাল থেকে আর শিথিল করা হবে না।

 

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর আমাদের একটি ধারণা হয়েছিল যে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি রাষ্ট্র হবে। যারা শিক্ষার্থীদের কথাগুলো চিন্তা করবে। আমাদের এসব কর্মসূচির জন্য অনেকেই আমাদের ওপর রাগ করে আছেন। আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমরা আপনাদের সন্তান। রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে।

 

এসময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে,

 

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

 

২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করে যোগ্যতা বিবেচনায় নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

 

৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

 

প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

 

যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

আজ তিতুমির শিক্ষার্থীদের টানা ১১ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি

আপডেটঃ ০১:০৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তিতুমীর কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টার দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন কলেজটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে অনড় তারা। আজ (০৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

 

গতকাল রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার।

 

তিনি বলেন, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। আমরা গতকালই আজকের অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ব ইজতেমার জন্য বেলা ১১টা থেকে অবরোধ শিথিল করেছিলাম। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফের অবরোধ ঘোষণা করছি। এর আওতায় থাকবে মহাখালী, রেল গেট, আমতলী ও গুলশান লিংক রোড। এর আগে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আমাদের কর্মসূচি শিথিল করেছিলাম। কিন্তু আগামীকাল থেকে আর শিথিল করা হবে না।

 

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর আমাদের একটি ধারণা হয়েছিল যে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি রাষ্ট্র হবে। যারা শিক্ষার্থীদের কথাগুলো চিন্তা করবে। আমাদের এসব কর্মসূচির জন্য অনেকেই আমাদের ওপর রাগ করে আছেন। আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমরা আপনাদের সন্তান। রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে।

 

এসময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে,

 

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

 

২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করে যোগ্যতা বিবেচনায় নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

 

৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

 

প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

 

যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।