ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ নিয়ে যা ভাবছেন রাজনীতিবিদরা

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০২:১৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / ৫২০ বার পঠিত

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা। তবে তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে কেউ কেউ সংশয় ব্যক্ত করেছেন। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বর্ধিত সভার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপি সব নতুন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে স্বাগত জানায়। তবে নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রহণ কিংবা বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে জনগণ।’

 

জল্পনা-কল্পনা শেষে গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টির। রাজনীতির মঞ্চে জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করা দলটি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তুমুল আলোচনা।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির যাত্রা শুরুকে কীভাবে দেখছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো? নেতারা বলছেন, রাজনীতিতে বৈচিত্র্য আর প্রতিযোগিতা বাড়াবে নতুন শক্তি।

 

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘আমাদের স্টেকহোল্ডার হচ্ছেন দেশের সম্মানিত নাগরিকরা। তাদের চাহিদা, তাদের অধিকার, চিন্তা ও দর্শনকে কে বেশি লালন করে সেটা দেখার সুযোগ তখন হবে যখন যত বেশি দল হবে। তখন জনগণের চিন্তা রাজ্যে বাছাই করার সুযোগ তত বেশি হবে। ফলে আমরা মনে করি রাজনীতিতে যদি আরও দুটি দল হয়, সেটিকে আমরা ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব।’

 

শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘যারা দল করছেন এবং যারা সরকারে আছেন দুই দলেরই দায়বদ্ধতা আছে। সরকারে যারা আছেন তারা সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবেন। আর যারা রাজনীতিতে আছেন তারা কোনোভাবে কিংস পার্টিতে পরিণত হচ্ছেন কিনা, তারা সরকারের কোনো ব্লেসিংস নিচ্ছেন কিনা! আমার ধারণা তারা এটা বিবেচনায় রাখবেন বা রাখছেন।’

 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতি করলে বাংলাদেশের থিম, বাংলাদেশের উদ্দেশ্য ও মর্যাদা- এ জিনিসগুলো সামনে আসলে ভালো হয়।’ ছাত্রদের আরও দুজন প্রতিনিধি সরকারে আছে। তারা কি এ দলের সঙ্গী কিনা, সেগুলো স্পষ্ট না করলে বিতর্ক থেকে যাবে।’

 

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে কাজ করবে তরুণদের দল- এ প্রত্যাশা রাজনীতিকদের।

 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমি আশা করব, নতুন কোনো দল অন্য কোনো গ্রুপের বা দলের স্বার্থ রক্ষাকারী হয়ে উঠবে না। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে তারা যদি ইতিবাচক রাজনীতি করে, গণতন্ত্র করে, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চা করে, সেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতগুলো ইতিবাচক উপাদান হিসেবে যুক্ত হবে।’\

 

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে কৌতূহল আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

 

আগামীর রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে নতুন দল, তা বলার উপযুক্ত সময় এখনো আসেনি বলে মনে করেন রাজনৈতিক নেতারা।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ নিয়ে যা ভাবছেন রাজনীতিবিদরা

আপডেটঃ ০২:১৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা। তবে তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে কেউ কেউ সংশয় ব্যক্ত করেছেন। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বর্ধিত সভার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপি সব নতুন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে স্বাগত জানায়। তবে নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রহণ কিংবা বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে জনগণ।’

 

জল্পনা-কল্পনা শেষে গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টির। রাজনীতির মঞ্চে জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করা দলটি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তুমুল আলোচনা।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির যাত্রা শুরুকে কীভাবে দেখছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো? নেতারা বলছেন, রাজনীতিতে বৈচিত্র্য আর প্রতিযোগিতা বাড়াবে নতুন শক্তি।

 

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘আমাদের স্টেকহোল্ডার হচ্ছেন দেশের সম্মানিত নাগরিকরা। তাদের চাহিদা, তাদের অধিকার, চিন্তা ও দর্শনকে কে বেশি লালন করে সেটা দেখার সুযোগ তখন হবে যখন যত বেশি দল হবে। তখন জনগণের চিন্তা রাজ্যে বাছাই করার সুযোগ তত বেশি হবে। ফলে আমরা মনে করি রাজনীতিতে যদি আরও দুটি দল হয়, সেটিকে আমরা ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব।’

 

শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘যারা দল করছেন এবং যারা সরকারে আছেন দুই দলেরই দায়বদ্ধতা আছে। সরকারে যারা আছেন তারা সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবেন। আর যারা রাজনীতিতে আছেন তারা কোনোভাবে কিংস পার্টিতে পরিণত হচ্ছেন কিনা, তারা সরকারের কোনো ব্লেসিংস নিচ্ছেন কিনা! আমার ধারণা তারা এটা বিবেচনায় রাখবেন বা রাখছেন।’

 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতি করলে বাংলাদেশের থিম, বাংলাদেশের উদ্দেশ্য ও মর্যাদা- এ জিনিসগুলো সামনে আসলে ভালো হয়।’ ছাত্রদের আরও দুজন প্রতিনিধি সরকারে আছে। তারা কি এ দলের সঙ্গী কিনা, সেগুলো স্পষ্ট না করলে বিতর্ক থেকে যাবে।’

 

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে কাজ করবে তরুণদের দল- এ প্রত্যাশা রাজনীতিকদের।

 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমি আশা করব, নতুন কোনো দল অন্য কোনো গ্রুপের বা দলের স্বার্থ রক্ষাকারী হয়ে উঠবে না। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে তারা যদি ইতিবাচক রাজনীতি করে, গণতন্ত্র করে, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চা করে, সেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতগুলো ইতিবাচক উপাদান হিসেবে যুক্ত হবে।’\

 

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে কৌতূহল আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

 

আগামীর রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে নতুন দল, তা বলার উপযুক্ত সময় এখনো আসেনি বলে মনে করেন রাজনৈতিক নেতারা।