জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিএডিএফ এর পরিকল্পনা

- আপডেটঃ ০১:১২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
- / ৫০৮ বার পঠিত
শত শহীদের রক্তে ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের পর নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সবার উদ্যোগ জরুরী। আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব সেখ নাসির উদ্দিন সিআইপি’র নেতৃত্বে ও বেকম্যান’স এর সহযোগিতায় কমিটি ফর অলটারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন-সিএডিএফ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যেটি স্বাস্থ্যসেবা, গবেষণা, শিক্ষা, দুঃস্থ সহায়তা ও জীবিকায়ন কর্মসুচির পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও ‘মুহূর্ত এখন পাশে থাকার’ ক্যাম্পেইনের ব্যানারে জুলাইযোদ্ধাদের পাশে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল সেবার মাধ্যমে, ২০২২ সালে সিলেটের সুনামগঞ্জ, ছাতক অঞ্চলসমূহে বন্যার্তদের পাশে ছিল বেকম্যান’স।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইতোমধ্যে সিএডিএফের ব্যবস্থাপনায় লন্ডনের প্রখ্যাত মুরফিল্ডস চক্ষু হাসপাতালের দুইজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ মার্চ ৮-১১, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ২৪টি সার্জারি ও ১২০ রোগী দেখেছেন। বিদেশে রোগী পাঠানোর মতো ব্যয়বহুল ও জটিল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা জুলাইযোদ্ধাদের পূনর্বাসনের জন্য একটি মাইলফলক।
এছাড়া বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সহযোগিতায় প্লাস্টিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি, ট্রমা-অর্থোপেডিক বিষয়ে চিকিৎসার জন্য সিএডিএফের ব্যবস্থাপনায় বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনয়নের কাজ চলমান রয়েছে। সিএডিএফের পরবর্তী প্রধান কর্মসূচিগুলি নিম্নরুপ:
স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক কল্যাণ: দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসনে ও জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শত সহস্র ব্যক্তি যে ধরনের দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে তার মধ্যে বলপূর্বক গুম অন্যতম। গুম থেকে বেঁচে ফিরে আসা ব্যক্তি ও তার পরিবার অবর্ণনীয় মানসিক অভিঘাতের মধ্যে বাস করে। এইসব ব্যক্তি ও পরিবারের মানসিক কল্যাণ ও পূনর্বাসনের বিষয়টি প্রায়শই উপেক্ষিত। এজন্য সিএডিএফ আগামী ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ঢাকায় একটি মেন্টাল ওয়েলবিয়িং ওয়ার্কশপ আয়োজন করবে। কর্মশালায় প্রথিতযশা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞগণ গুমের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্য, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করবেন।
সামাজিক সংহতি ও সহনশীলতা: বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা, মত, পথ, দল ও ধর্মের মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই জুলাই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশ গঠনে এই বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সংহতি ও সহনশীলতা দৃঢ়করণ প্রক্রিয়া ব্যতিত জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য সিএডিএফ আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ঢাকায় একটি সংহতি কর্মশালার আয়োজন করবে। কর্মশালায় প্রধান প্রধান ধর্মের পন্ডিত, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জুলাই যোদ্ধা, ছাত্র ও তরুণ প্রতিনিধিসহ দেশি-বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন।
সন্তান প্রতিপালন ও পরিবার গঠন: জাতি গঠনে আদর্শ সন্তান প্রতিপালন ও পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রয়োজনে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে পরিবারসহ নাগরিক সমাজের স্বতস্ফূর্ত ঝাপিয়ে পড়া আমাদেরকে সন্তান প্রতিপালন ও পরিবার বিষয়ে মনোযোগী হতে আবারো তাগিদ দিয়েছে। এজন্য সিএডিএফ আগামী ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ঢাকায় একটি প্যারেন্টিং ওয়ার্কশপ আয়োজন করবে। কর্মশালায় প্রথিতযশা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ আদর্শ সন্তান প্রতিপালন ও পরিবার গঠনে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মত বিনিময় করবেন।