বিশ্বের বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা, বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

- আপডেটঃ ১২:৪১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫৩১ বার পঠিত
বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ স্থানগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে সবসময়ই প্রথম সারিতে দেখা যায় এশিয়ার শহরগুলোকে। আরও স্পষ্টভাবে বললে দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলের একাধিক মেগাসিটিকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় দূষিত বাতাসের নগরীর তালিকায়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক দিন ধরে ঢাকা আবারও বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানেই থাকছে।
আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ দশ শহরের পাঁচটিই এই অঞ্চলের, সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ১৭৩ বায়ুমান নিয়ে তালিকার প্রথমেই অবস্থান ঢাকার। অর্থাৎ, আজও ঢাকার বাতাসের কোনো উন্নতি হয়নি, বরং আগের মতোই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার ১৬১ বায়ুমান নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ঢাকা। তার আগের দিন ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৮৬।
ঢাকা ছাড়া তালিকার শীর্ষ পাঁচে থাকা শহরগুলো হলো—ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা (১৬১), ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় (১৫৩), ভারতের দিল্লি (১৩২) এবং তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা শহরটিও ভারতেরই। ১২৯ বায়ুমান নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা।
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য-ঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।