ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার বিষয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৬:৩০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / ৫৪৪ বার পঠিত

পাকিস্তানের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি’ এবং ‘ভারতের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী—ভারত ও পাকিস্তানের—মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। একাধিক সদস্য দেশ ‘সামরিক সংঘাত পরিহার’ এবং ‘কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের’ আহ্বান জানান।

 

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ সভার পর কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের নিজেদের লক্ষ্যগুলোর বেশির ভাগই পূর্ণ হয়েছে। সভায় পরিষদের স্থায়ী ৫টি দেশ ও অস্থায়ী ১০ দেশের সব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

 

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস পহেলগাঁওয়ে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। ভারত ও পাকিস্তানকে সামরিক সংঘর্ষ এড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভুল করবেন না। সামরিক সংঘর্ষ কোনো সমাধান নয় এবং আমি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশের সরকারকেই সহায়তায় প্রস্তুত আছি।

 

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি করেছে। বৈঠকে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখারের বক্তব্য শোনা হয়।

 

এক সংবাদ সম্মেলনে ইফতিখার বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যে ধরনের মনোযোগ ও সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন, তার জন্য পাকিস্তান কৃতজ্ঞ।

 

তিনি কাশ্মীর ইস্যুকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ৭০ বছর ধরে চলমান একটি দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

 

ভারতের সাম্প্রতিক একতরফা পদক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইফতিখার। বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালভাবে কথা বলেছে পাকিস্তান। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সব সময় তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রস্তুত আছে।

 

দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাশ্মীর ইস্যুর সমাধানের ওপর জোর দেন ইফতিখার। বলেন, কাশ্মীরি জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এ বিরোধের সমাধান করা সম্ভব নয়।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার বিষয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক

আপডেটঃ ০৬:৩০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

পাকিস্তানের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি’ এবং ‘ভারতের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী—ভারত ও পাকিস্তানের—মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। একাধিক সদস্য দেশ ‘সামরিক সংঘাত পরিহার’ এবং ‘কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের’ আহ্বান জানান।

 

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ সভার পর কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের নিজেদের লক্ষ্যগুলোর বেশির ভাগই পূর্ণ হয়েছে। সভায় পরিষদের স্থায়ী ৫টি দেশ ও অস্থায়ী ১০ দেশের সব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

 

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস পহেলগাঁওয়ে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। ভারত ও পাকিস্তানকে সামরিক সংঘর্ষ এড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভুল করবেন না। সামরিক সংঘর্ষ কোনো সমাধান নয় এবং আমি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশের সরকারকেই সহায়তায় প্রস্তুত আছি।

 

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি করেছে। বৈঠকে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখারের বক্তব্য শোনা হয়।

 

এক সংবাদ সম্মেলনে ইফতিখার বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যে ধরনের মনোযোগ ও সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন, তার জন্য পাকিস্তান কৃতজ্ঞ।

 

তিনি কাশ্মীর ইস্যুকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ৭০ বছর ধরে চলমান একটি দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

 

ভারতের সাম্প্রতিক একতরফা পদক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইফতিখার। বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালভাবে কথা বলেছে পাকিস্তান। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সব সময় তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রস্তুত আছে।

 

দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাশ্মীর ইস্যুর সমাধানের ওপর জোর দেন ইফতিখার। বলেন, কাশ্মীরি জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এ বিরোধের সমাধান করা সম্ভব নয়।