ঢাকা , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্লার প্রাইস প্রত্যাহা‌রের পর শীর্ষ ৮ কোম্পানির বাজার মূলধন ক‌মে‌ছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৫:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬০১ বার পঠিত

শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেয়ার পর বাজার মূলধনের দিক থেকে শীর্ষে থাকা আট কোম্পানির মূলধন কমেছে ১৮ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। একই সঙ্গে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

তথ্য অনুসারে, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার পর বাজার মূলধন কমেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, রেনাটা লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে কোম্পানিগুলোর মোট বাজার মূলধন ছিল ৯১ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।

 

সর্বশেষ গত রোববার কোম্পানিগুলোর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭২ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন কমেছে ১৮ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বাজার মূলধন বেড়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বার্জার পেইন্টস, লাফার্জহোলসিম, ব্র্যাক ব্যাংক ও ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ারের। গত রোববার কোম্পানিগুলোর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে যা ছিল ৪৭ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

 

গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব সিকিউরিটিজের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর গত ২২ জানুয়ারি নতুন করে আরো ২৩ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। তৃতীয় দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি আরো ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। এখন কেবল বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল আছে।

 

এছাড়া বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার ক্ষেত্রে আসন্ন রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকবে। বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমার বিষয়ে ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা কমিশনের আদেশ কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারদর ২০০ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। শেয়ারদর ২০০ টাকার ওপর হলে এবং ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকবে। ৫০০ টাকার বেশি ও ১ হাজার টাকা পর্যন্ত শেয়ারদর থাকলে সেক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ারদর ১ হাজার টাকার বেশি ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। শেয়ারদর ২ হাজার টাকার ওপরে থাকলে ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। আর শেয়ারদর ৫ হাজার টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও স্ল্যাবভিত্তিক এ সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

ফ্লার প্রাইস প্রত্যাহা‌রের পর শীর্ষ ৮ কোম্পানির বাজার মূলধন ক‌মে‌ছে

আপডেটঃ ০৫:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেয়ার পর বাজার মূলধনের দিক থেকে শীর্ষে থাকা আট কোম্পানির মূলধন কমেছে ১৮ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। একই সঙ্গে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

তথ্য অনুসারে, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার পর বাজার মূলধন কমেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, রেনাটা লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে কোম্পানিগুলোর মোট বাজার মূলধন ছিল ৯১ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।

 

সর্বশেষ গত রোববার কোম্পানিগুলোর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭২ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন কমেছে ১৮ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বাজার মূলধন বেড়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বার্জার পেইন্টস, লাফার্জহোলসিম, ব্র্যাক ব্যাংক ও ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ারের। গত রোববার কোম্পানিগুলোর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে যা ছিল ৪৭ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

 

গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব সিকিউরিটিজের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর গত ২২ জানুয়ারি নতুন করে আরো ২৩ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। তৃতীয় দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি আরো ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। এখন কেবল বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল আছে।

 

এছাড়া বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার ক্ষেত্রে আসন্ন রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকবে। বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমার বিষয়ে ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা কমিশনের আদেশ কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারদর ২০০ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। শেয়ারদর ২০০ টাকার ওপর হলে এবং ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকবে। ৫০০ টাকার বেশি ও ১ হাজার টাকা পর্যন্ত শেয়ারদর থাকলে সেক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ারদর ১ হাজার টাকার বেশি ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। শেয়ারদর ২ হাজার টাকার ওপরে থাকলে ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। আর শেয়ারদর ৫ হাজার টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও স্ল্যাবভিত্তিক এ সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে।