ঢাকা , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমালি জলদস্যুদের দাবির বিষয়ে যা বলল জাহাজের মালিকপক্ষ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০১:১৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৫০ বার পঠিত

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখনো যোগাযোগ করেনি সোমালি জলদস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’র মালিকপক্ষের সঙ্গে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানায়নি তাদের দাবি-দাওয়া। তবে জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে তৃতীয়পক্ষ জাহাজটির বীমাকারী যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে জাহাজের মালিকপক্ষ। তবে এতে কত দিন সময় লাগতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

 

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোর ৬টা পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৭২ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। দুপুর নাগাদ জাহাজটি সোমালিয়ায় পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন।

 

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটির অবস্থান বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় শনাক্ত করা গেছে। জাহাজটি ওই সময় সোমালিয়া থেকে ৭২ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। আজ দুপুরের মধ্যে জাহাজটি সোমালিয়ায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। হয়তো এর পর জলদস্যুরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তবে এখন পর্যন্ত তারা কোনো দাবি জানায়নি।’

 

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। জাহাজের নাবিকেরা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জলদস্যুরা নাবিকদের কোনও ক্ষতি করেনি। তাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় আমরা সেই চেষ্টা করছি। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জলদস্যুদের মুক্তিপণ দাবির বিষয়টিকেও তিনি গুজব দাবি করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো দাবি-দাওয়া জানায়নি জলদস্যুরা। হয়তো জাহাজটিকে তাদের সেফ জোনে নেওয়ার পর তখন তারা তাদের দাবির বিষয়টি বলতে পারে।’

 

মিজান বলেন, ‘এর আগে ২০১০ সালে আমাদের মালিকের আরও একটি জাহাজ একই জলদস্যু বাহিনীর কবলে পড়েছিল। সেই সময় ১০০ দিন পর জাহাজসহ সব নাবিককে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। আমরা অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও সব নাবিককে সুস্থ শরীরে ফিরিয়ে আনতে পারব বলে আশা করছি।’

 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপের কমকর্তারা।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

সোমালি জলদস্যুদের দাবির বিষয়ে যা বলল জাহাজের মালিকপক্ষ

আপডেটঃ ০১:১৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখনো যোগাযোগ করেনি সোমালি জলদস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’র মালিকপক্ষের সঙ্গে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানায়নি তাদের দাবি-দাওয়া। তবে জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে তৃতীয়পক্ষ জাহাজটির বীমাকারী যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে জাহাজের মালিকপক্ষ। তবে এতে কত দিন সময় লাগতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

 

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোর ৬টা পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৭২ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। দুপুর নাগাদ জাহাজটি সোমালিয়ায় পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন।

 

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটির অবস্থান বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় শনাক্ত করা গেছে। জাহাজটি ওই সময় সোমালিয়া থেকে ৭২ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। আজ দুপুরের মধ্যে জাহাজটি সোমালিয়ায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। হয়তো এর পর জলদস্যুরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তবে এখন পর্যন্ত তারা কোনো দাবি জানায়নি।’

 

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। জাহাজের নাবিকেরা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জলদস্যুরা নাবিকদের কোনও ক্ষতি করেনি। তাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় আমরা সেই চেষ্টা করছি। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জলদস্যুদের মুক্তিপণ দাবির বিষয়টিকেও তিনি গুজব দাবি করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো দাবি-দাওয়া জানায়নি জলদস্যুরা। হয়তো জাহাজটিকে তাদের সেফ জোনে নেওয়ার পর তখন তারা তাদের দাবির বিষয়টি বলতে পারে।’

 

মিজান বলেন, ‘এর আগে ২০১০ সালে আমাদের মালিকের আরও একটি জাহাজ একই জলদস্যু বাহিনীর কবলে পড়েছিল। সেই সময় ১০০ দিন পর জাহাজসহ সব নাবিককে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। আমরা অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও সব নাবিককে সুস্থ শরীরে ফিরিয়ে আনতে পারব বলে আশা করছি।’

 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপের কমকর্তারা।