ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রী ও মহাপরিচালকের ভিন্ন বক্তব্য

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ১২:১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৪৫ বার পঠিত

ট্রেনের ভাড়ায় পরিবর্তন আনছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র। এবার দূরত্ব হিসেবে জনপ্রিয় এ যানবাহনটির ভাড়া বাড়াতে চলেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি, যা আগামী ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হবে। সেই সঙ্গে বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্রেনের কোনো কামরা ভাড়া নিতে চাইলে শ্রেণিভেদে বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। এটাকে রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ বলা হচ্ছে।তবে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক ও রেলপথমন্ত্রী দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন।

 

রবিবার (১৭ মার্চ) রেলওয়ে সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে এদিনই এবিষয়ে ঠিক তার বিপরীত কথা গণমাধ্যমকে জানালেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, ঈদের আগে আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে রেলওয়ের ভাড়া বাড়ানো হবে-এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে।

 

এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এ মুহূর্তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ভাড়া সমন্বয় করব। আমরা চেষ্টা করছি আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে বাস্তবায়ন করার। এতে করে আমাদেরও আয়-ব্যয়ের পার্থক্য কমে আসবে। তবে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহণে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত থাকছে বলে রেলওয়ে থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। রেলের আয় বাড়াতেই এ উদ্যোগ। তবে পণ্য পরিবহণে ভাড়া থাকবে আগের মতোই।

 

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের। তিনি বলেন, নিকট ভবিষ্যতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়বে না।

 

এ সময় রেলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, তিনি (ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক) কি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক নাকি? আমি বলছি, এখন ভাড়া বাড়বে না। কখনো বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে আলাপ করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে জানান দিয়ে তার পর আমরা চিন্তা করব। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো কারণ নেই।

 

উল্লেখ্য, ট্রেনে চড়ে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করলে সরকার বিভিন্ন হারে অর্থছাড়ের সুবিধা দিয়ে আসছিল। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে ছাড় পাচ্ছেন ২৫ শতাংশ।

 

রেলের হিসাবে, এক টাকা আয় করতে প্রায় ৩ টাকা খরচ হচ্ছে তাদের। এ ব্যবধান কমাতেই সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

 

একই সঙ্গে যাত্রীর আবেদনে সংযোজন করা অতিরিক্ত বগির ভাড়া বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। সংযোজিত বগির শোভন শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং স্নিগ্ধাসহ অন্যান্য উচ্চ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ যোগ করা হবে ভাড়ার সঙ্গে।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রী ও মহাপরিচালকের ভিন্ন বক্তব্য

আপডেটঃ ১২:১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

ট্রেনের ভাড়ায় পরিবর্তন আনছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র। এবার দূরত্ব হিসেবে জনপ্রিয় এ যানবাহনটির ভাড়া বাড়াতে চলেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি, যা আগামী ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হবে। সেই সঙ্গে বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্রেনের কোনো কামরা ভাড়া নিতে চাইলে শ্রেণিভেদে বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। এটাকে রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ বলা হচ্ছে।তবে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক ও রেলপথমন্ত্রী দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন।

 

রবিবার (১৭ মার্চ) রেলওয়ে সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে এদিনই এবিষয়ে ঠিক তার বিপরীত কথা গণমাধ্যমকে জানালেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, ঈদের আগে আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে রেলওয়ের ভাড়া বাড়ানো হবে-এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে।

 

এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এ মুহূর্তে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ভাড়া সমন্বয় করব। আমরা চেষ্টা করছি আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে বাস্তবায়ন করার। এতে করে আমাদেরও আয়-ব্যয়ের পার্থক্য কমে আসবে। তবে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহণে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত থাকছে বলে রেলওয়ে থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। রেলের আয় বাড়াতেই এ উদ্যোগ। তবে পণ্য পরিবহণে ভাড়া থাকবে আগের মতোই।

 

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের। তিনি বলেন, নিকট ভবিষ্যতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়বে না।

 

এ সময় রেলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, তিনি (ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক) কি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক নাকি? আমি বলছি, এখন ভাড়া বাড়বে না। কখনো বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে আলাপ করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে জানান দিয়ে তার পর আমরা চিন্তা করব। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো কারণ নেই।

 

উল্লেখ্য, ট্রেনে চড়ে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করলে সরকার বিভিন্ন হারে অর্থছাড়ের সুবিধা দিয়ে আসছিল। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে ছাড় পাচ্ছেন ২৫ শতাংশ।

 

রেলের হিসাবে, এক টাকা আয় করতে প্রায় ৩ টাকা খরচ হচ্ছে তাদের। এ ব্যবধান কমাতেই সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

 

একই সঙ্গে যাত্রীর আবেদনে সংযোজন করা অতিরিক্ত বগির ভাড়া বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। সংযোজিত বগির শোভন শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং স্নিগ্ধাসহ অন্যান্য উচ্চ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ যোগ করা হবে ভাড়ার সঙ্গে।