ঢাকা , শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪, ১ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফোন কেড়ে নেয়ায় বাবা-মা ও বোনকে হত্যা

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৫:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / ৫৬০ বার পঠিত

মোবাইল নিয়ে নেওয়ায় বাবা-মা এবং নিজের বোনকে খুন করেছে ১৬ বছর বয়সি এক কিশোর। বুধবার (২২ মে) ব্রাজিলের পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির সাও পাওলোতে শুক্রবার এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হত্যার খবর পেয়ে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর গালফ নিউজের

 

দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সাও পাওলোতে ওই কিশোর বাসায় মধ্যেই তিনজনকে হত্যা করে। এরপর তাদের সঙ্গেই বসবাস করেন। পরে গত সোমবার ওই কিশোর হত্যার বিষয়টি পুলিশকে ফোন করে জানালে তা প্রকাশ্যে আসে।

 

তদন্তকারী দলের প্রধান রবার্ত আফোনসো বলেন, ওই কিশোরের বাবা-মা ফোন কেড়ে নেওয়ার কারণে সে হাতাশায় ভুগছিল। তার বাবা একজন পুলিশের সদস্য। বাবার কাছে থাকা অস্ত্র নিয়েই সে এই কাণ্ড করেছে।

 

প্রথমে সে তারা বাবাকে গুলি করে, এরপর ১৬ বছর বয়সী বোনকে গুলি করার কয়েক ঘণ্টা পরই তা মা বাসায় আসে, এ সময় ওই কিশোর একই বন্দুক ব্যবহার করে তার মাকেও গুলি করে। তার বাবার বয়স ৫৭ বছর এবং মায়ের ৫০ বছর।

 

রবার্ত আফোনসো ব্রাজিলিয়ান নেটওয়ার্ক টেভিলিশনকে বলেন, মানসিক হতাশার সঙ্গে শারীরিক কোনো সমস্যার সংযোগ আছে কিনা আমরা সে বিষয়ে তদন্ত করবো। এছাড়া এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতেও তদন্ত করা হবে।

 

শুক্রবার বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর ওই কিশোর সোমবার পর্যন্ত তাদের মরদেহের সঙ্গেই বসবাস করেন। এ সময়ে ওই কিশোর জিমে যান এবং বেকারিতে গিয়ে কেনাকাটাও করেন। এছাড়া শনিবার রাগ করে তার মায়ের লাশে ছুরিকাঘাতও করে।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

ফোন কেড়ে নেয়ায় বাবা-মা ও বোনকে হত্যা

আপডেটঃ ০৫:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

মোবাইল নিয়ে নেওয়ায় বাবা-মা এবং নিজের বোনকে খুন করেছে ১৬ বছর বয়সি এক কিশোর। বুধবার (২২ মে) ব্রাজিলের পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির সাও পাওলোতে শুক্রবার এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হত্যার খবর পেয়ে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর গালফ নিউজের

 

দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সাও পাওলোতে ওই কিশোর বাসায় মধ্যেই তিনজনকে হত্যা করে। এরপর তাদের সঙ্গেই বসবাস করেন। পরে গত সোমবার ওই কিশোর হত্যার বিষয়টি পুলিশকে ফোন করে জানালে তা প্রকাশ্যে আসে।

 

তদন্তকারী দলের প্রধান রবার্ত আফোনসো বলেন, ওই কিশোরের বাবা-মা ফোন কেড়ে নেওয়ার কারণে সে হাতাশায় ভুগছিল। তার বাবা একজন পুলিশের সদস্য। বাবার কাছে থাকা অস্ত্র নিয়েই সে এই কাণ্ড করেছে।

 

প্রথমে সে তারা বাবাকে গুলি করে, এরপর ১৬ বছর বয়সী বোনকে গুলি করার কয়েক ঘণ্টা পরই তা মা বাসায় আসে, এ সময় ওই কিশোর একই বন্দুক ব্যবহার করে তার মাকেও গুলি করে। তার বাবার বয়স ৫৭ বছর এবং মায়ের ৫০ বছর।

 

রবার্ত আফোনসো ব্রাজিলিয়ান নেটওয়ার্ক টেভিলিশনকে বলেন, মানসিক হতাশার সঙ্গে শারীরিক কোনো সমস্যার সংযোগ আছে কিনা আমরা সে বিষয়ে তদন্ত করবো। এছাড়া এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতেও তদন্ত করা হবে।

 

শুক্রবার বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর ওই কিশোর সোমবার পর্যন্ত তাদের মরদেহের সঙ্গেই বসবাস করেন। এ সময়ে ওই কিশোর জিমে যান এবং বেকারিতে গিয়ে কেনাকাটাও করেন। এছাড়া শনিবার রাগ করে তার মায়ের লাশে ছুরিকাঘাতও করে।