ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আজিম কেন খুন হয়েছেন?

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৫:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / ৫৬২ বার পঠিত

ভারত সফরে গিয়ে কলকাতার উত্তর সীমান্তে বরানগরে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম। পরে সেখান থেকে নিউটাউনে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।

 

এরপরই রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হন আনোয়ারুল। তার মেয়ে বাবা নিখোঁজ হয়েছেন জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। বরানগর থানায় অভিযোগ করেন আনোয়ারুলের বন্ধু। পরে নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় আনোয়ারুলের খুন হওয়ার প্রমাণ। এখনো তার দেহ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

কেন খুন হয়েছেন আনোয়ারুল? এ ঘটনা এখনো স্পষ্ট নয়। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মধুগঞ্জ বাজারে পৈতৃক বাড়ি আনোয়ারুলের। হুন্ডি কারবার, অস্ত্র ও মাদক পাচারের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালে ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন আনোয়ারুল।এরপর থেকে পরপর তিনবার ঝিনাইদহ-৪ আসনে জয়ী হন তিনি। এর আগে অবশ্য একটা সময়ে আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের খাতাতেও ২৪টি মামলা ছিল।

 

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে- বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আনোয়ারুল। প্রশাসনের সঙ্গেও যোগ ছিল তার। পুলিশের সঙ্গে ‘টোকেন চুক্তি’ ছিল তার। এভাবেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন আনোয়ারুল।

 

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে আনোয়ারুল চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে বাংলাদেশের আরও দুই নাগরিক ছিলেন। আনোয়ারুলকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

 

জানা যায় কমপক্ষে এক মাস আগে ঝিনাইদহে এ খুনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আনোয়ারুল গত ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাকে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। দেহে যাতে পচন না ধরে তার জন্য ফ্রিজে টুকরো টুকরো করে কেটে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

এমপি আজিম কেন খুন হয়েছেন?

আপডেটঃ ০৫:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

ভারত সফরে গিয়ে কলকাতার উত্তর সীমান্তে বরানগরে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম। পরে সেখান থেকে নিউটাউনে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।

 

এরপরই রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হন আনোয়ারুল। তার মেয়ে বাবা নিখোঁজ হয়েছেন জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। বরানগর থানায় অভিযোগ করেন আনোয়ারুলের বন্ধু। পরে নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় আনোয়ারুলের খুন হওয়ার প্রমাণ। এখনো তার দেহ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

কেন খুন হয়েছেন আনোয়ারুল? এ ঘটনা এখনো স্পষ্ট নয়। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মধুগঞ্জ বাজারে পৈতৃক বাড়ি আনোয়ারুলের। হুন্ডি কারবার, অস্ত্র ও মাদক পাচারের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালে ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন আনোয়ারুল।এরপর থেকে পরপর তিনবার ঝিনাইদহ-৪ আসনে জয়ী হন তিনি। এর আগে অবশ্য একটা সময়ে আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের খাতাতেও ২৪টি মামলা ছিল।

 

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে- বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আনোয়ারুল। প্রশাসনের সঙ্গেও যোগ ছিল তার। পুলিশের সঙ্গে ‘টোকেন চুক্তি’ ছিল তার। এভাবেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন আনোয়ারুল।

 

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে আনোয়ারুল চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে বাংলাদেশের আরও দুই নাগরিক ছিলেন। আনোয়ারুলকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

 

জানা যায় কমপক্ষে এক মাস আগে ঝিনাইদহে এ খুনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আনোয়ারুল গত ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাকে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। দেহে যাতে পচন না ধরে তার জন্য ফ্রিজে টুকরো টুকরো করে কেটে রেখে দেওয়া হয়েছিল।